চট্টগ্রামের আড়তে আড়তে এখন কুরবানির পশুর চামড়ার স্তুপ, যা বিক্রির অপেক্ষায় আড়তদাররা। তবে এবারও শঙ্কা গুদামে গুদামে লবণ দিয়ে সংরক্ষিত এই চামড়া যথাসময়ে ও কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারবেন কিনা। কারণ এখনও আগে বিক্রি করা চামড়ার টাকাই দেয়নি কিছু কিছু ট্যানারি।
এক সময় চট্টগ্রামে ভালো অবস্থান ছিলো চামড়া শিল্পের। ট্যানারি ছিলো ২২টি। কিন্তু এখন ট্যানারি টিকে আছে মাত্র ১টি। ফলে প্রতিবছর চামড়া সংগ্রহের পর যথাসময়ে ও কাঙ্খিত দামে বিক্রি নিয়ে কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে ব্যবসায়ীদের। শঙ্কা আছে এবারও।
তবে এবার সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি হলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা তাদের। ব্যবসায়ীরা জানান, এবার যেহেতু তেমন নষ্ট হয়নি, তাই সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করতে পারলে সুদিন ফিরবে তাদের। ব্যবসায়ীরা নেতারা জানান, এখনো অনেক ব্যবসায়ী টাকা পান ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে।
এ অবস্থায় ন্যায্য দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া না কিনলে বিপাকে পড়বেন তারা। চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতি সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, আশা করি ট্যানারি মালিক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে দাম নির্ধারিত করেছে সে দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনলে আমারা লাভবান হবো।
আর যদি ওরা কম দাম দেয় তাহলে আমদের লোকসান হবে। চট্টগ্রামে এবার প্রায় সাড়ে তিন থেকে ৪ লাখ কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যার মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার সংরক্ষণ করা হয়েছে নগরীর চল্লিশটি আড়তে। বাকিগুলো উপজেলায়। এবার সবমিলে চামড়া ব্যবসা হতে পারে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।